ঢাকা, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
সর্বশেষ:

রোহিঙ্গারা চাইলে বৃহস্পতিবার থেকেই প্রত্যাবাসন  

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:৩৬, ২২ আগস্ট ২০১৯  

রোহিঙ্গা (ফাইল ফটো)

রোহিঙ্গা (ফাইল ফটো)

রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় স্বদেশ মিয়ানমারে ফিরতে চাইলে বৃহস্পতিবার থেকেই প্রত্যাবাসন হবে বলে জানিয়েছেন শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম।

বুধবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় কক্সবাজারে প্রত্যাবাসনেরসবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

আবুল কালাম বলেন, নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমারের ‘ক্লিয়ারেন্স’ পাওয়া ১ হাজার ৩৭টি পরিবারের ৩ হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ২৩৫টি পরিবারের প্রধান গত দুদিনে সাক্ষাতকারে অংশ নিয়েছেন। প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রোহিঙ্গাদের বহনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে পাঁচটি বাস এবং তাদের মালামাল পরিবহনের জন্য রয়েছে তিনটি ট্রাক।

টেকনাফ জাদিমুরা শালবাগান থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের এভাবে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য করায় তাদের প্রত্যাবাসনে বিভিন্নভাবে কূটনৈতিক তৎপরতার শুরু করে বাংলাদেশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুদেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন হয়। 

সেই গ্রুপের সিদ্ধান্ত মতে গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩০টি পরিবারের ১৫০ রোহিঙ্গাকে রাখাইনে প্রত্যাবাসনের জন্য ঢাকা-নেপিদো প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু আশ্রিতদের বিক্ষোভের মুখে সেই প্রক্রিয়াটি শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি। এরপর থেকেই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া থেমে যায়। পরবর্তীতে  বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিকভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখা হলেও একজন রোহিঙ্গাকে ফেরত মিয়ানমারে পাঠানো যায়নি।  

এরপর দীর্ঘ  ১৮ মাস পর বাংলাদেশ থেকে পাঠানো প্রায় ৫৫ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা থেকে ৩ হাজার ৪৫০ জনকে ফিরিয়ে নিতে সম্প্রতি সম্মত হয় মিয়ানমার। কিন্তু রোহিঙ্গরা স্বেচ্ছায় স্বদেশে যেতে না চাইলে প্রত্যাবাসন শুরু করা যাবে কি-না, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।

কিন্তু রোহিঙ্গারা রাজি না হলে বৃহস্পতিবারও প্রত্যাবাসন শুরু করা যাবে কী-না, তা নিয়ে সংশয় কাটছে না।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত দমন-পীড়নের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে  লাখো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী দেশ ছেড়ে পালিয়ে নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। এরআগেও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা। সবমিলিয়ে এখন প্রায় ১১ লাখের মতো রোহিঙ্গা  কক্সবাজারের উখিয়া এবং টেকনাফের ৩২টি অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছে। 

নিউজওয়ান২৪.কম/এমজেড

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত